মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য অন্যতম। জীবন ধারণের জন্য খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। আর এ বিশুদ্ধ খাদ্য সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে একান্ত অপরিহার্য। কিন্তু বাংলাদেশে বিশুদ্ধ খাবার যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে।
ভেজাল খাদ্য পণ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি
আমেরিকার এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন এজেন্সির প্রতিবেদনে প্রকাশ, ফরমালিন ফুসফুস ও গলবিল এলাকায় ক্যান্সার সৃষ্টি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, গলবিল এলাকায় ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য ফরমালিনকে দয়ী। টেক্সটাইল কালারগুলো খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশের পর এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই যার ক্ষতি করে না। তবে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান ক্ষতিগুলো হয় আমাদের লিভার, কিডনি, হৃৎপি- ও অস্থিমজ্জার। ধীরে ধীরে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তরুণদের উপর প্রভাব কিছুটা দেরিতে হলেও বাচ্চা ও বৃদ্ধদের বেলায় ক্ষতি হয় অত্যন্ত দ্রুত।
আমাদের দায়
সামাজিক জীব হিসেবে এ দায় আমাদের সবার। আল্লাহপাক প্রকৃতির মাধ্যমে যে নিরাপদ খাদ্য সমূহ আমাদের দান করেছেন, নিজ হাতে এগুলোকে আমরা বিষাক্ত করছি। খাবারে ভেজাল মিশানো মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর। আসুন সচেতন হই, যার যার জায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করি। আমাদের সন্তানদেরকে আগামী প্রজন্মের সুস্থ নাগরিক করে গড়ে তোলায় বিশুদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই।ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য সংগ্রহে জায়েফা মার্ট সব সময় আপনার বিশ্বস্ত সহযোগী।
ছয় দফা কেমিক্যাল
বাজারের কলা, আম, পেঁপে, পেয়ারা থেকে শুরু করে আপেল, আঙুর, নাশপাতিসহ দেশি-বিদেশি প্রায় সব ফলেই মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। সাধারণ ফল-মূলের উজ্জ্বল রঙ ক্রেতাদের নজর কাড়ে, সেগুলো বিক্রিও হয় বেশি দামে।তাই অপরিপক্ব ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড এবং তা উজ্জ্বল বর্ণে
রূপান্তর করার জন্য অধিক ক্ষার জাতীয় টেক্সটাইল রঙ ব্যবহার হচ্ছে অবাধে। খাদ্যকে বিষে পরিণত করার জন্য রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বর্ণে রূপান্তর করার জন্য অধিক ক্ষার জাতীয় টেক্সটাইল রঙ ব্যবহার হচ্ছে অবাধে।খাদ্যকে বিষে পরিণত করার জন্য রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।